চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহর পৌরসভার আফ্রাতপাড়া (আরাজি উথুলী খামারপাড়া) মহল্লায় সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে জমি জবরদখলের অপচেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে।
জমির মালিক এনায়েতুল কবির (দবির) অভিযোগ করেন,দীর্ঘদিন আগে সে আফ্রাতপাড়া আরাজি উথুলী খামারবাড়ি মৌজার ৩৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়িঘর নির্মান করে বসবাস করছেন। এরই মধ্যে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদরা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আঃ মমিন ওই জমি নিজেদের দাবি করে বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ১০/১২ জন সশস্ত্র লোক নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ির পাকা প্রাচীর ভাঙ্গা শুরু করে। এসময় এনায়েতুল কবির দবির ও স্ত্রী ঘুম থেকে জেগে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারার জন্য উদ্যত হয়। বেগতিক দেখে দবির ও তার স্ত্রী চিৎকার শুরু করেন। তারা সাহায্যের জন্য ৯৯৯ এ কল করেন। খবর পেয়ে চাটমোহর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং হামলাকারীরা চলে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় সেনা ক্যাম্পেও জানানো হয়।
এনায়েতুল কবির দবির এ বিষয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এনায়েতুল কবির জানান,ইতোপূর্বে গত ১২/০২/২০২৫ তারিখে আঃ মমিন গং বাড়ির প্রাচীর ভেঙে গাছপালা কেটে ঘর তুলে জমি জবরদখলের অপচেষ্টা করে। তখন পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয় এনিয়ে যেহেতু আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। তাই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এনায়েতুল কবির সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবেন। কিন্তু মমিন গং ফের সেই জমি জবর দখল করার জন্য হামলা করে সীমানা প্রাচীর ভাঙ্চুর করে।
জানা গেছে,এই জমি নিয়ে এনায়েতুল কবির দবিরের সাথে আঃ মমিন গং এর বিরোধ চলছে। আঃ মমিন এই জমিতে ওয়ারিশ বলে দাবি করছেন। কিন্তু এনায়েতুল কবির (দবির) জানান,আঃ মমিনের পিতার জমি আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। এখানে তাদের কোন স্বত্ব নেই। এনিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে আঃ মমিনের সাথে থা বলার জন্য যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনজুরুল আলম জানান,জমি দখলের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ব্যাপারে এনায়েতুল কবির দবির একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এই জমি নিয়ে আদঅরতে মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।