শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

ভাঙ্গুড়ায় বিরোধপূর্ণ পুকুরের মাছ বিক্রির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি : / ৯৯ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪

পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া থানার খানমরিচ ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম ও তার ভাই আব্দুর রশীদ।

আদিবাসী পরিবারকে উচ্ছেদের হুমকি এবং স্থানীয়দের জমি হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অভিযোগের পর এবার রাতের আধারে অন্যের পুকুরের মাছ তুলে বিক্রি করেছেন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. ইয়াহিয়া ও তার পরিবারের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, ১৭ বিঘার ওই পুকুরটিতে অন্তত ১০০ মন মাছ ছিল, যার অধিকাংশই তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন রশীদ ও ভাই।

বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই ভাঙ্গুড়া থানা, ইউএনও ও থানা ক্যাম্প বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযোগে বলা হয়, ১৭ বিঘার পুকুরটির অধিকাংশ মালিকানা (প্রায় ১০ বিঘা) প্রয়াত মো. আজগার আলীর ২ সন্তান ও মেয়েদের। বাকি ৭ বিঘার মধ্যে সাড়ে ৪ বিঘা স্থানীয় গ্রামবাসীর এবং সোয়া ২ বিঘার দুই মালিক আব্দুর রশীদ ও তার ভাই। এই দুই বিঘার ক্ষমতাবলেই পুকুর কাটার দেড় বছরের মাথায় দখলে নিয়ে নেন রশীদ ও তার ভাই শহীদুল ইসলাম।

ভুক্তভোগীরা জানান, ‘পুকুরটির দখল নিতে এর আগে গত ৩ আগস্ট পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হাসনায়েন রাসেলের বাসায় গোপন বৈঠক করেন রশীদ। ঘুষ হিসেবে সেদিন ওই বাড়িতে ২৮ হাজার টাকার মাছও নিয়ে যান রশীদ। সিদ্ধান্ত হয়- পুকুর দখল শেষে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের। কিন্তু ওই চুক্তির দু-দিন পর সরকার পতন হওয়ায় তা আলোর মুখ দেখেনি। মূলত সেই কাজটিই সরকার পতনের পর বিএনপি নেতা ভাইয়ের সহায়তায় করলেন রশীদ।’

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা সরেজমিনে এসে দেখে যেতে পারেন। এই পুকুর অনেক বছর থেকেই আমাদের। যারা নিজেদের মালিকানা দাবি করছেন, তাদের কাছে প্রমাণ নাই। তারা বহু আগেই এই জমি আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন। আর আজ সকালে বেশি মাছ ধরা হয়নি, বরং পুকুরে কী পরিমাণ মাছ আছে সেটা দেখার জন্য জাল ফেলেছিলাম। এতে এক থেকে দেড় মণ মাছ তোলা হয়।’

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ভাঙ্গুরা থানার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার জানান, আমি বিষয়টি সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তাদের এক পক্ষ একটা অভিযোগ দিয়েছে, দুপক্ষকে ডেকে কথা বললে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব। এই মুহূর্তে এরচেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ