শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

উল্লাপাড়ায় ৪ মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থীই পাশ করেনি 

রাজু আহমেদ সাহান : / ১৮৭ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪

রাজু আহমেদ সাহান, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চলতি বছরের  অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ৪টি দাখিল মাদ্রাসা থেকে কোন পরীক্ষার্থী পাস করেনি।  মাদ্রাসাগুলো হলো বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা, এলংজানী দাখিল মাদ্রাসা, হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা এবং বড় কোয়ালীবেড় দাখিল  মাদ্রাসা। বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দেয় ১৫ জন, এলংজানী মাদ্রাসা থেকে ১২, হাজী আহমেদ আলী মাদ্রাসা থেকে ১৪ জন এবং বড় কোয়ালীবের মাদ্রাসা থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এছাড়া উপজেলার খোন্দকার নুরুন্নাহার দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন, উধুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন এবং হাজী আবেদ আলী মেমোরিয়াল মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন।

এলংজানী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহাদৎ হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের দাখিল পরীক্ষার্থীরা বছরের বেশিভাগ দিনই ক্লাসে অনুস্থিত ছিল। এদের অভিভাবকদের বার বার বিষয়টি জানলেও তাতে কোন কাজ হয়নি। এখন  সবাই ফেল করে মাদ্রাসার দুর্নাম কড়ালো।  শিক্ষকরা এজন্য খুবই লজ্জিত।

বগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আতিকুর রহমান জানান, তার মাদ্রাসায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা পড়ে। এরা একে বারেই লেখাপড়া করে না।অনেক চেষ্টা করেও এদেরকে ক্লাসে মণোযোগী  করা যায়নি।

বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ শফিক উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মাদ্রাসা একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় এখানকার বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরাই প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস না করার ফলেই এ অবস্থা। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জানান তিনি। অপর হাজী আম্মেদ আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ ছেফাতুল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে বার বার ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।  

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা  মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ,কে,এম শামছুল হক জানান, শতভাগ ফেল করা মাদ্রাসার সুপারদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হবে। এছাড়া ফেল করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের  কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ