পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়ালে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালিস চলাকালে প্রতিপক্ষের মারপিটে ৪ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। আহতরা হলেন হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের মেছের সরকারের ছেলে হাফিজ উদ্দিন সরকার (৬৮),আঃ হামিদ সরকার (৫৫),হাফিজ উদ্দিন সরকারের ছেলে রবিউল সরকার (৩৫) ও নয়ন সরকার (২২)। এসময় একটি মোটরসাইকেল ভাঙ্চুরের ঘটনাও ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বল্লভপুর গ্রামের খলিল মোল্লার ছেলে মজিবর রহমান,শান্ত মোল্লা ও মোজাম্মেল মোল্লা,নবাব আলীর ছেলে মোতালেব হোসেন,সৈয়দ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম ও মোতালেব হোসেনের ছেলে আঃ আজিজ।
আহত আঃ হামিদ সরকারের স্ত্রী হান্ডিয়াল ইউপি সদস্য নার্গিস খাতুন অভিযোগ করেন,জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য আমার স্বামীসহ অন্যদের আওয়ামী লীগ অফিসে ডেকে আনা হয় এবং শালিস বসে। এক পর্যায়ে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ বল্লভপুর গ্রামের খলিল মেম্বার,আফজাল,মজিবর,সাঈদদসহ অন্যরা হামলা চালিয়ে মারপিট করে। তাদের মারপিটে গুরুতর জখম হয় ৪ জন। খবর পেয়ে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় হামলাকারীরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে অবস্থান নেন। পুলিশ সেখান থেকে ৬ জনকে আটক করে। হামলা করে মারপিটের পর বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে খলিল মেম্বার গং তাদের ৪ জনকে রোগি সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে বলে ইউপি সদস্য নার্গিস খাতুন অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার খলিল মোল্লা জানান,বিরোধপূর্ণ ২০/২১ বিঘা জমি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। তারপরও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম প্রাং পার্টি অফিসে ডেকে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম রেজা বলেন,ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহারনামীয় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।