শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকার ১২ উপায়

টিএনবি ডেস্ক: / ২৫৭ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩

প্রতিদিনই বাড়ছে রোদের তীব্রতা। গ্রীষ্মের দাবদাহে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। সূর্যের কড়া চাহনিতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিচ্ছে। হতে পারে হিটস্ট্রোকের মতো মারাত্মক সমস্যা। এই অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখতে কী করবেন আর কী করবেন না জেনে নিন। 

দুপুরের চড়া রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে দুপুর ১১টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত যতটা সম্ভব অফিসে বা ছায়ায় কাজ করুন। শরীরিক অসুবিধা হতে পারে এমন কাজ এই সময়টাতে না করাই ভালো। অন্যদিকে দুপুরে বাড়িতে পর্দা দিয়ে রোদ আটকানো আর রাতের দিকে জানালা খুলে দেওয়া উচিত। কোনো ব্যক্তি গরমে অসুস্থ পড়লে বা তার হিট স্ট্রোক হয়েছে বুঝলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যতক্ষণ না চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে, ততক্ষণ অসুস্থ ব্যক্তিকে ছায়ায় শুইয়ে রাখা বা ভেজা রুমাল, গামছা বা তোয়ালে দিয়ে চোখ-মুখ মুছিয়ে দেওয়া এবং প্রয়োজনে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে শরীরে ও মাথায় পানি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

  • দিনে কমপক্ষে তিন লিটার পানি পান করা জরুরি।
  • সম্ভব হলে ডাবের পানি, স্যালাইন, লেবুর শরবত, অল্প লবণ ও চিনি দিয়ে শরবেত খেতে পারেন। 
  • পানিশূন্যতা থেকে বাঁচতে, তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতেই হবে। 
  • দুপুর ১১টা  থেকে তিনটা পর্যন্ত রোদ এড়িয়ে ছায়ায় থাকুন। 
  • রোদে বেরোলে সঙ্গে পানির বোতল রাখবেন এবং ছাতা, টুপি, সানগ্লাস ব্যবহার করবেন।
  • বাইরে থাকলে মাথা, ঘাড়ে, মুখে ভেজা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ পর পর মুছে নিবেন। 
  • আঁটসাঁট পোশাক না পরে হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতি কাপড় পরার চেষ্টা করুন। যাদের কর্মক্ষেত্রে জুতা না পরলেই হয়, তারা স্যান্ডেল পরতে পারেন। 
  • হিট স্ট্রোকের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে অর্থাৎ পানিশূন্যতা এবং তারপর হাত-পা টান ধরে অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
  • গরম পানি নয়, সাধারন তাপমাত্রার ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করবেন। গরমে মন ও শরীরকে সতেজ এবং সুস্থ রাখতে গোসলের কোনো বিকল্প নেই। সকালে, দুপুরে আর সারা দিনের কাজের শেষে বা রাতে ঘুমের আগে গোসল করলে শরীর যে শুধু আরাম পাবে তা কিন্তু নয় বিভিন্ন সংক্রমণ ব্যাধির উৎপাত থেকেও রক্ষা পাবেন। 
  • হাই প্রোটিন, অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। 
  • গরমে খাবার দ্রুত পচে যায়। তাই বাইরের খোলা খাবার, কাটা ফল খাবেন না। বাড়িতেও বাসি খাবার খাবেন না। 
  • ঘাম হচ্ছে না, সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ছে বা অন্য কোনো রকম অস্বস্তি বোধ করলে নিজে থেকে ওষুধ খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন গ্রীষ্মের দাবদাহে শরীরকে প্রশান্ত রাখতে প্রয়োজন সচেতনতা। তবেই থাকতে পারবেন সুস্থ। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ