চাটমোহর( পাবনা)প্রতিনিধি
চাটমোহর উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভিন্ন ভাতা, আর্থিক সহায়তা ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম গতিশীল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মানুষের ঘরে ঘরে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে মানবিক ভূমিকা রেখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা। তার আন্তরিকতা ও মাঠপর্যায়ের কর্ম তৎপরতায় উপজেলার প্রকৃত অসহায়, দরিদ্র, বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নতুনভাবে ভাতার আওতায় আসছেন।
সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানবিক মনোভাব নিয়ে সোহেল রানা প্রতিনিয়ত চাটমোহরের বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে ঘুরে ঘুরে প্রকৃত অসহায় মানুষের খোঁজ করছেন। যারা শারীরিক দুর্বলতা, দারিদ্র্য বা অজ্ঞতার কারণে অফিসে আসতে পারেন না তাদের তথ্য নিজেই সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করছেন তিনি। যোগ্যদের দ্রুত ভাতার আওতায় এনে দিচ্ছেন সরকারি সুবিধা।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের এই কার্যক্রম ও মানবিক উদ্যোগ চাটমোহরকে সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি সফল মডেল হিসেবে এগিয়ে নিচ্ছে।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ১২ অক্টোবর ২০২৩ সালে যোগদান করে দুই বছর কর্মকালে , বয়স্ক ভাতা করেছেন ১,১৯২ জন, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা ৯২২ জন, এবং অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ১,৩৯৭ জন উপকারভোগী। এছাড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা ২৩ জন বেড়েছে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও ডাটাবেইস হালনাগাদের মাধ্যমে ১,৪৭৩ জনকে সুবর্ণ নাগরিক (প্রতিবন্ধী আইডি) কার্ড প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে ৮১ জন রোগীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এ দু বছরে।
চাটমোহরের বেসরকারি এতিমখানাসমূহে ৩৭ জন উপকারভোগীর জন্য ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট প্রদান করা হয়েছে। নিবন্ধনকৃত ৬টি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে।
ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৭৫ জন রোগী আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। পাশাপাশি উপজেলা সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে ৪৩ জনকে এককালীন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
তার কর্মকালে সামাজিক নিরাপত্তায় বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রমে ১ জনকে এবং পুনর্বাসনমূলক উদ্যোগ হিসেবে প্রবেশন কার্যক্রমে ৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি মূলগ্রাম ও পার্শডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পরে জনগনের সেবা দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। ভোগান্তি কমিয়েছেন সাধারণ জনগণের। এ দুই ইউনিয়নের জনগণ তার এমন কর্মকাণ্ড সন্তুষ্ট হয়েছেন।
মূলগ্রাম ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের ভাতাভোগী খায়রুন নেছা নামের এক উপকাভোগি জানান, কর্মকর্তা হয়েও সোহেল রানা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেন এটা আমাদের কাছে নতুন ও ব্যতিক্রমী মনে হয়েছে। তার জন্য অনেক দরিদ্র পরিবার ভাতার সুযোগ পেয়েছে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করছি চাটমোহরের মানুষের পাশে। আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে চাই।