পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নে খাস জমি দখল চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ( ২৯ নভেম্বর) বিকেল থেকে দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে এপর্যন্ত শামসুর প্রাং, আলমগীর ও লোকমান মোল্লা সহ অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে, উপজেলার করমজা ইউনিয়নের বড়গ্রাম মৌজার শামুকজানি জোলার ওপারের জমি দীর্ঘদিন স্থানীয় কিছু কৃষক ডিসিআর কেটে চাষাবাদ করছিলেন। এসব কৃষকের মধ্যে মৃত জাহেদ আলী খাঁ এর ডিসিএরভূক্ত জমি তার মেয়ে জামাই শামসুর প্রামাণিক চাষাবাদ করছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি শামসুর প্রামাণিক সহ অন্যান্য কয়েকজন কৃষকের জমির চাষাবাদে বাধা দেন আফড়া গ্রামের রেজাউল মোল্লা ও তার লোকজন। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় কুঠির হালট বাজার এলাকায় এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে রাতে আরেক দফায় সংঘর্ষের পর রবিবার বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এব্যাপারে আহত শামসুর প্রামাণিকের ভাই মনসুর বলেন, আমরা কোনো রাজনীতির মধ্যে নেই। এদিকে যখন যে দল আসে সেই দলের লোক সাজে রেজাউল মোল্লারা। এখন বিএনপি সেজে আমার ভাইয়ের জমি দখলের চেষ্টা করছে। এর আগেও বর্ষার আগে জোরপূর্বক জমির পাট কেটে নেয়। এখন আবার এ নিয়ে ঝামেলা করছে। গতকাল একা পেয়ে রেজাউল মোল্লা লোকজন নিয়ে আমার ভাইকে ব্যাপক মারধর করে। সকালে আরেক চাচাতো ভাই আলমগীরকে মেরে আহত করেছে। শুধু আমার ভাইয়ের নয়, এলাকার নিরীহ অনেক মানুষের সাথেই এমন অন্যায় ও জুলুম চালায় রেজাউল মোল্লারা।
তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন রেজাউল মোল্লা। তিনি বলেন, জমিগুলো আমাদের। একটা সময় তারা দখলে নেয়। আমরা সেটা ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছি। তবে এই গ্যাঞ্জাম জমি সংক্রান্ত নয়। তারা আওয়ামীলীগ করে। রাজনৈতিক তর্কবিতর্কে এ ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, ওই জমি কখনো দখলে নিয়ে এরা খায় আবার কখনো ওরা । এভাবে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা চলছিলো উভয়পক্ষের মধ্যে। এ নিয়ে শনিবার ও রবিবার দফায় দফায় ঝামেলা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।