পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়ালে ২ স্কুল ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। যুথী আক্তার (১৫) এবং শাবানা খাতুন (১৫) নামের দুই স্কুল ছাত্রী ২১ মে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
হান্ডিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী যুথি আক্তার হান্ডিয়ালের জয়ঘর গ্রামের জিল্লুর হোসেনের মেয়ে এবং পাকপাড়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শাবানা পাকপাড়া গ্রামের সাকাওয়াত হোসেন সাকুর মেয়ে।
প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঐ দুই ছাত্রী বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পাকপাড়া সিনিয়র মাদ্রাসার বিএসসি শিক্ষক সাইফুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়ে। পড়া শেষে মিলনের দোকান থেকে গ্যাস ট্যাবলেট কিনে হান্ডিয়াল বাজারে খেয়ে বাড়ি চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করলে অভিভাবক টের পায়। তাদের চিকিৎসা করার জন্যে পাবনা সদর হাসপাতালে নিলে কিছুক্ষণের মধ্যে যুধি আক্তার মারা যায় এবং শাবানার অবস্থা আশংকাজনক হলে ডাক্তার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নেয়ার পরামর্শ দেন। রাজশাহী যাবার পথে শাবানার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে কীটনাশক বিক্রেতা মিলন বলেন, আমি ঐ ২ ছাত্রীর কাছে কোন গ্যাস ট্যাবলেট বিক্রি করি নাই। আমার কীটনাশক বিক্রির লাইসেন্স আছে। সরকারি নীতিমান মেনে কীটনাশক বিক্রি করি।আমি ১৬ বছর যাবত সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। আমার বিরুদ্ধে এ জাতীয় কোন প্রকার অভিযোগ নেই। কেউ হয়তোবা আমার সুনাম নষ্ট কিংবা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে আমার নাম বলে থাকতে পারে।
যুথি আক্তার ও শাবানা দুই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তারা পরামর্শ করেই এই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাতে বেশ কল্পনা জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
চাটমোহর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন এবং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।