রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ২৭ দফা রূপরেখা বিএনপির আন্দোলনের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘যিনি এ ধরনের রূপরেখা দিতে পারেন তাকে বলা হয় ‘স্টেটসম্যান’। আর তারেক রহমান সেই কাজটিই করেছেন। তার দক্ষতা ও যোগ্যতাকে তিনি বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।’’
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলরুমে এক সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের যে অবস্থা তাতে নিষেধাজ্ঞা আসবে, সেটা স্বাভাবিক। কারণ, এখানে ভালো কিছু হচ্ছে না। গুম-খুন করা হচ্ছে। দূতাবাসের কাজ হলো- জনগণের পক্ষে কাজ করা। নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর কাজ তাদের না।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের হাত থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করতে হলে একটা ট্র্যাকে আনতে হবে। সেজন্যই তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয়, যারা শিক্ষিত ও দক্ষ, অভিজ্ঞ- তাদের সমন্বয়ে আপার হাউজ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে করে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে হতে হবে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদেরকে ২৭ দফা দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে ২৭ দফার প্রয়োজনীয়তা। কারণ তারা জানতে চাইছে যে, শেখ হাসিনা চলে গেলে কী হবে? সেই জন্যই কিন্তু আমরা ২৭ দফা রূপরেখা দিয়েছি। এই দফাগুলো হলো- আমাদের আন্দোলনের অংশ। আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এর মাধ্যমে আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ সঠিক পথে চলবে না। রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই ২৭ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে তো স্মার্ট বাংলাদেশের নামে স্মার্ট ভোট চুরি, শেয়ারবাজার লুট হবে। ১০ লাখ কোটি টাকার মতো বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের কথা আমরা বলছি না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ঢাকা মহানগর উত্তর। ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাবের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীমের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আহসান। ঢাকা উত্তর ড্যাবের মহাসচিব ডা. এএসএম মো. মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, ড্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. লাবিদ রহমান, তানজিম রুবাইয়্যাত আফিফ, আসিফ আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তরিকুল ইসলাম তারিখ, রাজু আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কাজী জিয়াউদ্দিন বাসেতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।