শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

বিএনপি’র দুই গ্রুপের হাতাহাতি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আহত ৭

রিপোটারের নাম : / ৩৭ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সোমবার দুপুরে উল্লাপাড়ায় সরকারি জলমহলের ইজারার সিডিউল কেনা নিয়ে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে হাতা-হাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে মোট ৭ জন আহত হয়। আহতরা হলো, মেহেদী হাসান (২৪), জাকিরুল ইসলাম (২৫), সেরাজুল ইসলাম (২৮), আশরাফুল (৩৫), সায়েম (১৯), জিন্নাহ (৪৭), বাকিরুল ইসলাম (৩৫)। এদেরকে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ সময় নেতা-কর্মী ৩টি মোটর সাইকেল ভাঙ্গচুর করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্রুত হস্তক্ষেপে বড় ধরনের গোলযোগ ঘটতে পারেনি। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে গোলযোগ নিরসন হয়। আগামী ২৯ জানুয়ারি ১০৫টি জলমহাল ইজারার জন্য টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারিত রয়েছে।   

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজাদ হোসনের গ্রুপ এবং সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি এম আকবর আলী গ্রুপের কর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সিডিউল কেনার জন্য আসে। উভয় পক্ষের মধ্যে সিডিউল কেনা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতা হাতি ও কিল ঘুষি শুরু হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে থানা মোড় এবং ঝিকিড়া বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এই গোলযোগ বিস্তৃত হয়। ঘটনার শুরুতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত পুলিশ ও আনসার বাহিনী নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। 

আজাদ গ্রুপের প্রধান আজাদ হোসেন এবং আকবর আলী গ্রুপের পক্ষে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল সরকার উভয়ই একে অপরকে আক্রমনের অভিযোগ আনেন। আজাদের দাবি তাদের পক্ষে ৭ জন কর্মী আহত হয়েছে। তবে উভয় নেতাই গোলোযোগ বিস্তৃত না হওয়ার ব্যাপারে সদিচ্ছা ব্যক্ত করেন।  

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে বড় ধরনের গোলযোগ নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়েছে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের নেতাদের নিয়ে সভা করে একটা সমঝোতা হয়। উভয় পক্ষে থেকেই গোলযোগ-মারামারি না করার মুচলিকা নেওয়া হয়েছে। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ