শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

বড় দল না এলে নির্বাচনের বৈধতা শূন্যে নামতে পারে: সিইসি

রিপোটারের নাম : / ২৬৬ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩
ছবি- সংগৃহিত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দলগুলো অংশ না নিলে আইনগত সংকট না হলেও নির্বাচনের বৈধতা শূন্যের কোটায় নেমে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থেকে সরে এসে ৩০০ আসনে ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত গত সোমবার জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থা ইসি। এর দুই দিন পর এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ভোট আয়োজনকারী সংস্থাটির প্রধান হাবিবুল আউয়াল।

ইভিএম বা ব্যালটে যেকোনো পদ্ধতিতে শতভাগ সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয় জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘শতভাগ সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করা ইভিএমেও যেমন পুরোপুরি সম্ভব নয়, ব্যালটেও পুরোপুরি সম্ভব নয়। বিষয়টি আপেক্ষিক হতে পারে। অধিকতর ভালো, যেটা আমরা সব সময় বিশ্বাস করেছিলাম যে ব্যালটের চেয়ে ইভিএমে ভোটটা অনেক বেশি নিরাপদভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হয় যান্ত্রিক কারণে। কাজেই শতভাগ নিশ্চিত করার কথা আমি বলতে চাচ্ছি না।’

ইভিএম, ব্যালট এসব নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে। নির্বাচনে সবাই বা প্রধানতম দলগুলো অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা হচ্ছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ইভিএম দিয়ে করলে সেটা কেবল ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াটা হয়, কিন্তু বড় দলগুলো অংশগ্রহণ করল না, নির্বাচনের লিগ্যালিটি (আইনগত দিক) নিয়ে কোনো সংকট হবে না লেজিটিমেসি (বৈধতা) শূন্যের কোটায় চলে যেতে পারে। সেটা আপেক্ষিক। লেজিটিমেসি আর লিগ্যালিটির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। লিগ্যালি নির্বাচন শুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু লেজিটিমেট হয়তো হবে না।’অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘সেটা আমরা এখনো বলতে পারব না। আমরা প্রথম থেকে বলেছি সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সে লক্ষ্যে আমাদের প্রয়াস শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আমরা জোর করে কাউকে আনতে পারছি না। কিন্তু আপিল আমরা করেই যাব। আমাদের কথায় যে সাড়া দেবেন তাও নয়। সংকট সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর হয়ে থাকে বা সরকারি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের হয়ে থাকে। আমরা বলব, রাজনৈতিক সেই সংকটগুলো আপনারাই নিরসন করে নির্বাচনকে সহজ এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য অনুকূল করে দেন।’

এখানে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আপনারা আসেন নির্বাচনে। আপনারা নিজেদের মধ্যে সংলাপ করুন। সংলাপ করে বিরাজমান কোনো দূরত্ব যদি থাকে, কোনো সংশয় যদি থাকে এবং বিরোধ থাকে, তা মিটিয়ে ফেলে নির্বাচন কমিশনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করুন।’

সমঝোতা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা আমি বলতে চাচ্ছি না। এককথায় বলেছি, সবগুলো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে গণতান্ত্রিক চেতনা থেকে সেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা জনগণের কাছে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে।’ইভিএম থেকে বর্তমান কমিশনের সরে আসা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে বাজারে একটা সংশয় দেখা দিয়েছে। এটা কি চাপে করা হলো, না ওইটা করা হলো। এটা নিয়ে কিন্তু আমরা কমিশন দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। প্রথমে আমাদের কোনো একটা দলের প্রত্যাশা ছিল ৩০০ আসনেই ইভিএম। সবকিছু শুনে ১৫০টি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। ১ হাজার ২০০টি নির্বাচন হয়েছে। সেখানে একটিও অভিযোগ পড়েনি যে, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। ম্যালফাংশনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ভূত আছে বা ইয়ে আছে কী বলে ভানুমতির খেলা, দশটি ভোট দিলে তিনটি ভোট থাকে। কাজেই আমরা বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছি। এটা একেবারেই সত্য নয়। আমরা পুরোপুরি বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস দিয়ে তো হবে না, যদি অংশ না নেয়?’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ