শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

পটিয়ায় প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণকারী কে সেই যুবক

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি / ৪৩৬ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২

প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে এক যুবককে। রাস্তায় প্রকাশ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রতিপক্ষের ওপর গুলি ছোড়া যুবকটি কে হতে পারে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। তবে পুলিশ বলছে, তারা ভিডিওটি সংগ্রহ করেছে এবং ওই যুবককে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউপির ৭নং ওয়ার্ড হিলচিয়া গ্রামে শাহ সুফি ছৈয়দ মুহাম্মদ কাজী এবাদুল্লাহ শাহ (রা.)-এর বার্ষিক ওরশকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ২০-২৫ জন আহত হয়। পরে একটি ভিডিওচিত্রে গুলিবর্ষণের বিষয়টি সবার নজরে আসে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর পিস্তল হাতে গুলি ছুড়ছেন কালো প্যান্ট, লাল-সাদা রঙ্গের টি-শার্ট পরা ওই যুবক। ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, দলবলসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির লোকজনদের ওপর হামলা চালাতে দৌড়ে যাচ্ছে। ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ভিডিওটি সংগ্রহ করা হয়েছে। গুলি ছোড়া যুবককে শনাক্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থাসহ একাধিক টিম কাজ করছে। এদিকে এ ঘটনায় বুধবার মসজিদ পরিচালনা কমিটির মো. ইয়াছিন বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ১৫ জন ও অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে পটিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।

জাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এই বছরও আগামী ২১ মার্চ হাতিয়ার ঘোনা-হিলচিয়া কাজী এবাদুল্লাহ শাহ (রা.)-এর বার্ষিক ওরশ উদযাপণের লক্ষ্যে মাদ্রাসার মাঠ প্রাঙ্গণে ডেকোরেশনের কাজ করাকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কাজের শ্রমিকদের বাধা প্রদান করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াছিন কারণ জানতে চাইলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল এবং মারধর করতে তেড়ে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির তৈয়ব, আব্দুর রাজ্জাক, বেলাল, দেলোয়ার হোসেন, মো. শফিক প্রতিবাদ করলে তাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার একপর্যায়ে বিবাদী সেলিম উদ্দিন ও জয়নাল আবেদীন মাদ্রাসার টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে মাদ্রাসার আনুমানিক ২ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টপত্র নিয়ে যায়। অন্যদিকে স্থানীয় আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদের দান বাক্স ভেঙে প্রায় ৫০ হাজার টাকাসহ ডেকোরেশন, ব্যানার, ফেস্টুন, ওরশের নির্মিত গেট ভাঙচুর এবং কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি নুরুল আবসার বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় আ ন ম সেলিম উদ্দিন, জুমন, বদিউল আলম ও খায়ের আহমেদের নেতৃত্বে ওরশের আগেই একটি মাহফিল দেই মসজিদ, মাদ্রাসা ও ওরশের সব কর্মসূচি বানচালের জন্য। তার আলোকেই তারা সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট করে। ঘটনার ভিডিওচিত্র দেখলে তাদের তাণ্ডবের দৃশ্য স্পষ্ট দেখা যাবে। এ ঘটনায় জড়িত সবার বিচার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

অন্যদিকে আ ন ম সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মাহফিলে না যেতে মসজিদের হুজুরকে ১ সপ্তাহ আগে ছুটি দিয়ে দেয় তারা। এবং মাহফিল পণ্ড করে দেয় মসজিদ পরিচালনা কমিটি।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার কিছু ভিডিও ক্লিপ হাতে এসেছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ