শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

দেলোয়ারের বাগানে ফের ফুটেছে টিউলিপ ফুল

রিপোটারের নাম : / ৪২৭ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

শীতের জরাজীর্ণতা কাটিয়ে বসন্তের সজীবতায় আবারও যুক্ত হয়েছে দেলোয়ারের বাগানের নজর কাড়া টিউলিপ। শীতপ্রধান দেশে হরহামেশাই দেখা এ টিউলিপ গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশে চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্বখন্ড গ্রামের দেলোয়ার। আবহাওয়ার প্রতিকূলে চাষের প্রায় অসম্ভব’কেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন এ উদ্যোক্তা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানজুড়ে এবারও ফুটেছে রাজসিক সৌন্দর্যের ফুল টিউলিপ। দেলোয়ারের বাগানে দাঁড়ালে মনে হবে যে এটা শীতের দেশ-সুইজারল্যান্ড কিংবা নেদারল্যান্ডে। কিন্তু বাস্তবে শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে ১ কি.মি দূরে কেওয়া গ্রামের মৌমিতা ফ্লাওয়ার্স’ নামক ফুলের বাগান এটি। বেগুনি, হলুদ ও লালসহ ৮ রঙের ফুল ফুটে একাকার। বাগানের ফুলগুলো বিশেষ পলিথিনে মোড়ানো একটি শেডের নিচে চাষ হচ্ছে। যার চারপাশ ঢাকা ছোট ছিদ্রযুক্ত নেট দেওয়া পুরো শেডটিতে বিশেষ পদ্ধতিতে তাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করা হয় সূর্যের আলোও।

জানা যায়, ২০২০ সালে দেশে টিউলিপের চাষ শুরু করেন দেলোয়ার হোসেন নামে এই উদ্যোক্তা। সে বছর দেশের মাটিতে প্রথম টিউলিপ ফুল ফুটিয়ে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। পর্যায়ক্রমে ২০২২ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে তার বাগানে তৃতীয়বারের মতো টিউলিপ ফুল ফোটে। তার টিউলিপ নজর কেড়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। সেসময় তার বাগান পরিদর্শন করেছিলেন তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ কৃষি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাগানে দাঁড়িয়েই টিউলিপ চাষে সফলতার গল্প শোনালেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। সফল ফুলচাষি হিসেবে ২০১৭ সালে পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকও। ৩ বছর আগে ডাচ নামক একটি সংস্থা থেকে ফুল চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নেন দেলোয়ার। দেলোয়ার আরও বলেন, এ প্রশিক্ষণ শেষে নেদারল্যান্ডস থেকে প্রথমে ১ হাজার ১০০টি টিউলিপ গাছের বাল্ব (বীজ হিসেবে ব্যবহৃত রূপান্তরিত কান্ড) নিয়ে আসি। সেগুলোকে রোপণ করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখি। প্রথম বার কঠোর পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয় হয়েছিল। দ্বিতীয় বছরে সেটা কাটিয়ে উঠার পর এখন আমার বাগানে লাখো ফুলের সমাহার ।

টিউলিপ বাগান দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ফুলপ্রেমী মানুষরা তার বাড়িতে ভিড় জমান। এমন একজন শামীমা আক্তারের বাড়ি ময়মনসিংহ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে টিউলিপ ফুল হচ্ছে এমন খবরে বাগান দেখতে এতো দূর থেকে আসছি। জীবনের প্রথম এ ফুল দেখে আনন্দিত। ফুল দেখতে এসে মুগ্ধ ৮ বছরের তামিমের মতো অন্য শিশুরাও। তারা বলছে, বই পুস্তকে টিউলিপ ফুলের নাম শুনেছিলাম। আজ বাস্তবে দেখতে এসেছি।

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বশির আহমেদ সরকার যায়যায়দিনকে বলেন, ভিন্ন সৌন্দর্যের টিউলিপ ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আন্তর্জাতিক ভাবে টিউলিপের বড় বাজার তৈরি করা সম্ভব। টিউলিপ ফুল চাষ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ঋণের সুবিধাসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ