শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

জমি জরিপ শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা ভাড়া : জানেন না সভাপতি!

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : / ৬৬ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:
একটি বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত জমি জরিপ শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা ভাড়া দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তিন মাসব্যাপী এই কার্যক্রমের জন্য পাবনার চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি জানানো হয়নি মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজা সুলতানাকে। সংস্থার প্রচারপত্রে জমি জরিপ শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল করিমের নাম রয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়,প্রতিদিন তিন শিফটে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিফট অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে ৮টা,বিকেল ৪টা থেকে ৫টা এবং বাদ মাগরিব হতে এশার আগ পর্যন্ত। সূত্রমতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল করিম এই প্রশিক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে মোটা টাকা গ্রহণ করলেও তা মাদ্রাসার হিসাবে জমা দেওয়া হয়নি। এই কার্যক্রমের জন্য মাদ্রাসা ভাড়া দেওয়া হলেও জানানো হয়নি সভাপতি পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে। এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সহকারি অধ্যাপক রবিউল করিম বলেন,আমার ক্ষমতা বলে এটা করেছি,সভাপতিকে জানানোর দরকার নেই।
উল্লেখ্য,সম্প্রতি মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক জ্যষ্ঠতা লঙ্ঘন করে মোটা টাকা খরচায় এলাকার লোকজন ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মওলানা আবু ইসহাককে মাদ্রাসা থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করে নেন। সম্প্রতি মাদ্রাসার নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রবিউল করিমকে নিয়োগকালীন সময়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু রবিউল করিম তখন দায়িত্ব বুঝে না নিয়ে সরকার পরিবর্তনের পর নিয়োগকালীন সময়ের দায়িত্ব নেওয়ার অজুহাতে আবু ইসহাকবে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বনে যান। যদিও নিয়োগের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই রবিউল করিম চরম স্চ্ছোচরিতা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ। জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে জ্যৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে রবিউল করিম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে থাকতে পারেন কিনা-এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একজন সিনিয়র শিক্ষককে জোরপূর্বক মাদ্রাসা বের করে দেওয়া হলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। মুষড়ে পড়েছেন মওলানা আবু ইসহাক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ