শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

জবাব দিয়েছি তাদের, বাংলাদেশও পারে: প্রধানমন্ত্রী

রিপোটারের নাম : / ৩২১ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়া, সেটিকে ঘিরে দেশে-বিদেশে সমালোচনা, আর নানা মহলের সংশয় আর বিরূপ মন্তব্য পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে শেখ হাসিনার সরকার। আজ (শনিবার) দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এর মধ্যদিয়ে স্বপ্নের পূর্ণতা পেল।

অনেক প্রতিকূলতা ও বাধা ডিঙিয়ে, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক ও দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে পদ্মা সেতুর মতো এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সত্যি অবিশ্বাস্য।সরকারের ধারাবাহিকতা, সদিচ্ছা— সর্বোপরি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকার কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। 

দেশের দীর্ঘতম এই সেতু উদ্বোধন করে গাড়িতে করে তা পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে গিয়ে পূর্ব নির্ধারিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে যারা বাধা দিয়েছিল, তাদের একটা জবাব আমরা দিয়েছি। তাদেরকে একটা উপযুক্ত জবাব আমরা পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে দিতে পারলাম যে, বাংলাদেশও পারে।’

তিনি বলেন, ‘এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট, স্টিল-লোহা-কংক্রিটের একটা অবকাঠামো নয়; এই সেতু আমাদের সাহস। এই সেতু আমাদের গর্ব, এই সেতু আমাদের সক্ষমতা এবং আমাদের মর্যাদার শক্তি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে আমরা পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর খালেদা জিয়া এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবার নির্মাণ কাজ শুরু করি।তখন তারা কী বলেছিল? বলেছিল, আওয়ামী লীগ কোনোদিন নাকি পদ্মা সেতু করতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে আজকে জিজ্ঞেস করি- আসুন, দেখে যান, পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে কি না।’

দুর্নীতি নয়, বরং মুহাম্মদ ইউনূসের তদ্বিরেই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে বিশ্ব ব্যাংক সরে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

দুর্নীতির সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে দুর্নীতি করেছে? এই সেতু আমাদের প্রাণের সেতু। যে সেতুর সাথে আমার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য জড়িত, সেই সেতু করতে যেয়ে কেন দুর্নীতি হবে?’

বিশ্ব ব্যাংককে বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভবপর নয় বলে যারা নিরুৎসাহিত করেছিলেন, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে কীভাবে করতে পারলাম? আপনারা এই দেশের জনগণ আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন। জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি সেটাই বিশ্বাস করেছি।’

পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুবিধার দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আর আপনাদের কষ্ট করতে হবে না। এই খরস্রোতা পদ্মা নদী পার হতে যেয়ে আর কাউকে সন্তান হারাতে হবে না, বাবা-মাকে, ভাই-বোনকে হারাতে হবে না। আজকে সেখানে আপনারা নির্বিঘ্নে চলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।আমাদের প্রত্যেকটা এলাকা এত দুর্গম ছিল, আজকে সেখানে রাস্তাঘাট, পুল-ব্রিজ করেছি বলেই সব জায়গায় যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে। এই এলাকার লোক যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সেজন্য পায়রা পর‌্যন্ত আমরা সেতু বানিয়ে দিয়েছি। এখন নিশ্চিন্তে মানুষ চলাফেরা করতে পারে।’

পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসার সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা দেশে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। আজকে পদ্মা সেতু হয়েছে। এখানেও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে, শিল্পাঞ্চল হবে, কর্মসংস্থান হবে, কল-কারখানা হবে, আমাদের ফসল উৎপাদন হবে। সেই ফসল আমরা প্রক্রিয়াজাত করতে পারব। দেশে-বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। এখানে যে মাছ হবে, তা আমরা প্রক্রিয়াজাত করে দেশে-বিদেশে পাঠাতে পারব। বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ ঘুচে যাবে। ভাগ্য পরিবর্তন হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ