শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

চাটমোহরে ১০ জন নারী পেলেন গরুর বাছুর!

রিপোটারের নাম : / ৪৬ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫


চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার চাটমোহরে এনজিও ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় ১০ জন দরিদ্র নারী পেলেন গরুর বাছুর। চাটমোহরস্থ ‘মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের ১০জন নারীকে এই বাছুর দেওয়া হয়েছে।

বিএনএফ’র ‘হতদরিদ্রদের মাঝে উন্নতজাতের গাভীর বাছুর বিতরণ’প্রকল্পের আওতায় এই বাছুর দেওয়া হয়েছে। এজন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫ লাখ টাকা।
গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বেজপাড়া গ্রামের ১০ জন দুস্থ নারীকে গরুর বাছুর দেওয়া হয়েছে। তারা বাছুরগুলো লালন পালন করছেন।
ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী ছালেকা বেগম বলেন,গরুর বাছুর দেওয়ার আগে আমাদের দুই দিনের ট্রেনিং করানো হয়েছে। ট্রেনিং সকালে ও দুপুরে খাবার দেওয়া হয়। পরে গাভীর বাছুর হাতে ধরিয়ে ছবি তোলেন। পরদির বাছুর বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন এই বাছুর লালন পালন করার পর গাভী হলে প্রথম বাছুরটি ফেরত দিতে হবে। বাছুর দিতে কোন টাকা পয়সা নেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন ছালেকা।
আরেক গৃহবধূ একই গ্রামের আঃ রশিদের স্ত্রী কোহিনুর খাতুন বলেন, ৫/৭ দিন আগে বাছুর দিয়ে গেছেন বাবলু ভাই। এজন্য কোন টাকা পয়সা নেন নাই। আমিও ট্রেনিং নিয়েছি।
একই কথা বললেন,চঞ্চলের স্ত্রী শাহিদা খাতুন,মৃত কিবরিয়ার স্ত্রী জীবন নাহার,কামরুলের স্ত্রী সুলতানা পারভীন। তারা বললেন,আমাদের ট্রেনিং করানোর পর গরুর বাছুর দেওয়া হয়েছে। গরুর বাছুর বুঝে পেয়েছেন বেজপাড়া গ্রামের হাফিজুরের স্ত্রী রাশিদা,রাশেদুলের স্ত্রী ছালমা,শাহ আলমের স্ত্রী রাবেয়া ,কামরুলের স্ত্রী সুলতানা পারভীন,াবুল কাশেমের ছেলে শান্ত,চঞ্চলের স্ত্রী শাহিদা,আঃ রশিদের স্ত্রী কোহিনুর। সুফলভোগী দরিদ্র এই ১০ নারী জানান,বাছুর দেওয়ার সময় কোন টাকা পয়সা নেওয়া হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে কয়েকজন নারীকে বাছুর দেওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি কাম অফিসে ডেকে এনে শুধু বাছুর হাতে ধরিয়ে ছবি তুলে খিচুড়ি দিয়ে বিদায় করে দেন ওই এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলু। কাউকে বাছুর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।


এবিষয়ে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রেলবাজাস্থ মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলু। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন,বিএনএফ’র শর্ত মোতাবেক একই গ্রামের ১০জন নারীকে বাছুর দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে,তার কোন ভিত্তি নেই।

কে কিভাবে অভিযোগ করেছেন,তা আমার জানা নেই। গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের (বিএনএফ) আর্থিক সহায়তায় মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা এনজিওর উদ্যোগে ১০ জন দরিদ্র নারীকে গাভীর বাছুর দেওয়া হয়। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন,পত্র-পত্রিকায় যে সকল সংবাদ প্রকাশ হয়েছে,তা বাস্তবতা বিবর্জিত। একই ধরণের সংবাদ এবং একই ধরণের শিরোনামে সংবাদগুলো প্রকাশিত হয়েছে। আমার প্রতিপক্ষ একটি গোষ্ঠি সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে অথবা সংবাদ লিখে হয়তোবা সরবরাহ করেছেন। আমি সকল সংবাদকর্মীকে সরেজমিনে এসে বাস্তবতা তুলে ধরার আহবান জানাচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ