শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন : আপনার এলাকার উন্নয়ন অনিয়ম, অপরাধ, শিক্ষা শিল্প- সংস্কৃতি , ইতিহাস- ঐহিত্য , অবহেলা-অবিচারসহ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য টিত্র পাঠান। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাহা গুরুত্বসহকারে প্রচার করব।  

চাটমোহরে রসুনের বাম্পার ফলন

জাকির সেলিম: / ২৭২ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে :
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩
চাটমোহরে রসুন উঠানোর উৎসব- ছবি- টিএবি২৪

পাবনার চাটমোহর উপজেলার চলনবিল অঞ্চলে চলতি মৌসুমে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ও দাম বেশি পেয়ে কৃষকরাও খুশি।

শস্যভান্ডার বলে খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহর উপজেলায় বিনাচাষে রসুন আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন চাষীরা। বিগত কয়েক বছরে আবাদে সাফল্যের মুখ দেখায় এবারও এ উপজেলায় ব্যাপকহারে বিনাচাষে রসুনের আবাদ হয়েছে । এখন চাষীরা রসুন ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিন-রাত পরিশ্রম করে কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পেরে মহাখুশি চাষীরা।

এ অঞ্চলের ‘সাদা সোনা’ বলে খ্যাত মসলা জাতীয় ফসল রসুন এখন অন্যতম অর্ধকরী ফসল। চাষীরা জানালেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার রোগ বালাই কম ছিল,ফলে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের থেকে রসুন চাষে লাভ বেশি হওয়ায় তাছাড়াও বিনাচাষে রসুন পাওয়ায় তারা ঝুঁকছেন রসুন আবাদের দিকে। বিনা চাষে রসুন বুইনে দ্বিগুণ লাভ, খাটনি কম খরচও কম।

চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, রসুন তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শত নারী-পুরুষ। এ বছর রসুনের ফলন বাম্পার ও দামেও খুশি কৃষকরা। এ বছর প্রতি বিঘায় ফলন ৩০ থেকে ৩৫ মণ। গত বছর এসময় রসুনের বাজার দর ৮শ টাকা থেকে ১৫শ টাকা মণ ছিল। এবছর শুরুতেই কৃষক বাজারে বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে।

একই জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির কৃষিপণ্য উৎপাদনের কারণে উত্তরাঞ্চলের শষ্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিল অঞ্চলের চাষাবাদ বরাবরই বৈচিত্রময়। বিল অঞ্চলের বৈচিত্রময় কৃষি কাজে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বিনাচাষে এ রসুন উৎপাদন। স্বল্প ব্যয়ে বিনা চাষের রসুন উৎপাদনে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে প্রতিবছরই ব্যাপকভাবে বাড়ছে মসলা জাতীয় এই কৃষিপণ্যের উৎপাদন।

উপজেলার মামাখালি গ্রামের রসুন চাষি আহেদ আলী সে এ বছর প্রায় ২ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন এবং বরদানগর গ্রামের রসুন চাষি আতিকুল ইসলাম সেও প্রায় ৩ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন। তারা বলেন, প্রতি বিঘা জমির জন্য বীজ বাবদ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা, সার-কীটনাশক প্রায় ৭ হাজার, নিড়ানি ও সেচ বাবদ প্রায় ৬ হাজার এবং কৃষি শ্রমিকের মজুরি প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ মণ হারে রসুন পাওয়া যাবে। বর্তমানে বাজারে ১৮শ থেকে ২২শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আশা করছেন প্রতি বিঘা জমি থেকে খরচ বাদে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভ করবেন।

চাটমোহরের মামাখালী রসুনের মাঠ।

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ. মাসুম বিল্লাহ জানান, চলতি মৌসুমে চাটমোহর উপজেলায় ৩ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। এ বছর হেক্টর প্রতি গড় ফলন প্রায় ১০ মেট্রিক টন। বিনাচাষে আবাদ করা রসুনের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে দামও ভাল পাওয়ায় খুশি চাষিরা। প্রতিবছর রসুন আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ