জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড তাপদাহ ও সীমাহীন লোডশেডিংয়ের কারণে পাবনার চাটমোহরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রার কাটা প্রায় ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ঘরের বাইরে বের হলেই রোদের প্রখরতায় পুড়ে যাচ্ছে শরীর। গরম-দূষনে ডায়রিয়াসহ পানি শূর্নতা রোগ বাড়ছে। সেই সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১’র আওতাধীন চাটমোহর আঞ্চলিক অফিসের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, গত কয়েকদিন হলো পৌরসভা এবং উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের সর্বত্র চলছে সীমাহীন লোডশেডিং। দিনের পাশা-পাশি রাতেও দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং। কখনও কখনও দিনের তুলনায় রাতেই বেশি লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। রাতে এবং দিনে এক ঘন্টার ব্যবধানে ২/৩ বারও লোডশেডিং দেওয়া হয়।
উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বড় বেলাই গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাহক রায়হান আলী বলেন, ‘শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে সব চেয়ে বেশি লোডশেডিং দেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে এক ঘন্টার ব্যবধানে ৩/৪ বারও লোডশেডিং দেওয়া হয়’।
সীমাহীন এই লোডশেডিংয়ের কারণে এলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ নির্ভর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পাশা-পাশি ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অফিস-আদালত, ব্যাংক বীমা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের ফলে স্থানীয় সাংবাদিকরা সুষ্ঠুভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। লোডশেডিংয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, লেখা-পড়া করার উপযুক্ত সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। অথচ ওই সময়েই বিদ্যুৎ থাকেনা। ফলে তাদের লেখা-পড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। সেকারণে লোডশেডিং হচ্ছে।