চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
ফেসবুকে বিশ^নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকারী সেই প্রশান্ত কুমার দে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। তিনি চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের মৃত কালা চাঁদ দে’র ছেলে। এরআগে সোমবার চাটমোহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মুফতি আলামিন হোসাইন নামের এক ব্যক্তি।
জানা গেছে, শনিবার প্রশান্ত কুমার দে তার ফেসবুকে বিশ^নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তি করে একটি পোস্ট দেন। মূহূর্তেই ফেসবুকের সেই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। উত্তেজিত হয়ে পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। পরপর দুই দিন প্রশান্ত কুমারকে আটক এবং বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে পড়ে পুরো হান্ডিয়াল ইউনিয়ন।
এরপর রোববার রাতে উত্তেজিত জনতা বল্লভপুর গ্রামে সার্বজনীন মহাদেব মন্দির ও মূর্তি ভাংচুর করে। এছাড়া হিন্দু ধর্মালম্বীদের বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পুরো এলাকার হিন্দু ধর্মালম্বীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করতে থাকে। বন্ধ রাখা হয় দোকানপাট। পরে ইউএনও, এসিল্যান্ড, থানার ওসি, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর সোমবার মুফতি আলামিন হোসাইন নামের এক ব্যক্তি প্রশান্তকে আসামি করে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৯।
এদিকে আত্মগোপনে থাকা প্রশান্ত পাবনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে পালানোর সময় চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জরুল আলমের নের্তৃত্বে পুলিশের একটি দল প্রযুক্তির সহযোগিতায় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রশান্তকে পাবনা বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, প্রশান্ত কুমার দে’র বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে (প্রশান্ত) আটকের পর গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।