উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চাঁদা না পেয়ে তাঁতশিল্পের এক ব্যবসায়ীর পাওয়ার লোম ফ্যাক্টরী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নের গোপিনাথপুর ও কৃষকগঞ্জ বাজারে। শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় ৩ আসামিকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ।
আটককৃত আসামিরা হলো উপজেলার শ্রীবাড়ী গ্রামের সুজাব আকন্দের ছেলে মোঃ এরশাদ আলী (৩৫), একই গ্রামের লাল চাঁন আকন্দের ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৭), ও হাড়িভাঙ্গা গ্রামের মৃত তুফান আকন্দের ছেলে মোঃ আব্দুল লতিফ (২৫)।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোঃ রাজিবুল ইসলাম শুক্রবার রাতে উল্লাপাড়া মডেল থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে।
মামলার বাদী রাজিবুল ইসলাম জানান, তিনি একজন পাওয়ার লোম ফ্যাক্টরীর মালিক ও তাঁতশিল্পের কাপড় ব্যবসায়ী এবং একটি হাটের ইজারাদার হিসেবে কাজ করেন। আসামিগণ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেশকিছু দিন আগ থেকে তার নিকট চাঁদা দাবি করে আসছিল। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার রাতে আসামি এরশাদ এর নেতৃত্বে অপর আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র সঙ্গে নিয়ে আমার গোপিনাথপুর গ্রামের বাড়ীর পাশে অবস্থিত পাওয়ার লোম ফ্যাক্টরীতে গিয়ে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমার উপর হামলা চালায়। পরে চাঁদাবাজরা তার তাঁতশিল্প ফ্যাক্টরীতে হামলা চালিয়ে সকল পাওয়ার লোমে জড়ানো সূতাঁ ও কাপড় কেটে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এতে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। উপস্থিত লোকজন বাঁধা দিলে চাঁদাবাজদের অস্ত্রের আঘাতে রেজাউল, কাশেম ও শফিকুল নামের ৩ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাদী।
বাদী আরও জানান, পরক্ষণেই তার কৃষকগঞ্জ বাজারে অবস্থিত হাট ইজারাদার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই একই চক্রের সকল সদস্য হামলা চালিয়ে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, টেলিভিশন, চেয়ার টেবিল, আলমারি ভাংচুর ও তছনছ করে নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় উল্লাপাড়া মডেল থানায় বাদী হয়ে ১০ জন নামীয় ও ৬ জন অজ্ঞান নামা আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক সুজিত কুমার বিশ্বাস জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বিকেলে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।