রাত ৮টার পর থেকে দোকান-পাট, শপিংমল বন্ধের নির্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কথা বলে আজ কেন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর দোকান-পাট, শপিংমল বন্ধের কথা বলছেন?
তিনি বলেন, ‘রেন্টাল-কুইক রেন্টালের জনগণের ভুর্তকির টাকা যেসব লুটেরা ব্যবসায়ী পেল ওই টাকা কোথায় গেল? আজকে কেন রাত ৮টার পরে দোকান-পাট বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। আপনার নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত কোথায় গেলো?’
আজ সোমবার (২০ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সিলেট-সুনামগঞ্জসহ বন্যার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আসলে কোথাও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নাই
ঢাকাতেও এখন এক ঘণ্টা-দেড় ঘণ্টা রাত্রে না হয় সকালে বিদ্যুৎ যাচ্ছে। আপনি বিদ্যুতে বিষয়ে বিভিন্ন আইন করেছেন শুধুমাত্র আপনার লোকদের ধনী করার জন্য। আপনার লোকজনকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ করার জন্য। দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করার সুযোগ করার জন্যই আপনি সেটা করেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘আজ চাল ও খাবারের জন্য হাহাকার করছে সিলেট নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের হাওড়বাসী। কারণ সবই তো তলিয়ে গেছে। খাবার পাবে কোথায়, পৌঁছাবে কি করে? আজ বানভাসি ৫০ লাখ মানুষ সিলেট-সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনায় পানিবন্দী। তাদের জনপ্রতি ত্রাণের পরিমাণ এক টাকা-দেড় টাকা। আর পদ্মাসেতুর বিচিত্রা অনুষ্ঠানে পদ্মাসেতুর ফাংশানে ভারত থেকে আসা মিমি চক্রবর্তী নাসের শিল্পী একাই পাবেন তিন কোটি টাকা। ’
তিনি আরো বলেন, ‘গোটা সিলেট, সুনামগঞ্জ রীতিমতো বন্যার পানিতে ভাসছে। আর আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পদ্মা সেতু দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ভাসছেন। পদ্মা সেতুর ভেল্কিবাজির দিকে জনগণের চোখকে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। জনগণ জানে যে, আপনি তাদের সঙ্গে তামাশা করছেন, আপনি মস্করা করছেন, একটা ভেল্কিবাজি দেখাচ্ছেন। ’
সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এই কর্মসূচিতে বিএনপির শিরিন সুলতানা, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, গণতন্ত্র ফোরামের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আবদুল্লাহ আল নাইম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।